উয়ারী ও বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অবস্থিত দুটি পাশাপাশি গ্রাম ।
চার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মৌর্য যুগে এখানে একটি সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়।
পুণ্ড্রনগরে সভ্যতা গড়ার কিছু আগে এখানে নগর সভ্যতা নির্মাণ করা হয়েছিল।
প্রত্নতাত্বিকগণ উয়ারী বটেশ্বরকে টলেমির ‘সৌনাগড়া' বলে উল্লেখ করেছেন।
এখানে প্রাপ্ত চারটি পাথরে নিদর্শন প্রস্তর যুগের বলে মনে করা হয়।
২০১০ সালে আবিষ্কৃত হয় ১৪০০ বছরের প্রাচীন ইট নির্মিত বৌদ্ধ পদ্মমন্দির ।
১৯৩০ সালের দিকে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান প্রথম উয়ারি বটেশ্বরকে সুধী সমাজের নজরে আনেন। ২০০০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিভাগের উদ্যোগে শুরু হয় এর প্রথম খনন কাজ । খনন কাজের নেতৃত্ব দেন বিভাগের প্রধান- সুফী মোস্তাফিজুর রহমান।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লালবাগ কেল্লা মুঘল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন।
এটি পুরোনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত একটি দুর্গ।
এই কেল্লার পূর্ব নাম- আওরঙ্গবাদ দুর্গ।
সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা মোহম্মদ আযম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সুবেদার শায়েস্তা খাঁর আমলে এর নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকে। তার কন্যা পরিবিবি (প্রকৃত নাম হরান দুখত) এর মৃত্যুর পর ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
কেল্লা এলাকাতে পরিবিবির সমাধি অবস্থিত। কেল্লার উত্তর-পশ্চিমাংশে বিখ্যাত শাহী মসজিদ অবস্থিত।
তিন নেতার মাজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (শাহবাগ থানা) এলাকায় অবস্থিত।
স্বাধীনতা পূর্ব বাংলার তিন বিখ্যাত নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজ নাজিমুদ্দিন এবং শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের কবরের উপর নির্মিত ঢাকার অন্যতম গ্রিক স্থাপত্য নিদর্শন।